বসন্ত এসে গেছে। এই বসন্তে চারদিকে যেমন ফুল আর ফুল, তেমনি প্রকৃতির এ রূপ বদলে রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ারও আশঙ্কা আছে। হাম, জলবসন্ত, ভাইরাস জ্বর, টাইফয়েড, চুলকানিসহ নানান রোগ এ সময় তাড়িয়ে বেড়ায় মানুষকে। শীতের আবহাওয়ায় ঘুমন্ত ভাইরাস গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় মানুষের। এ সময় দরকার কিছু সাধারণ সচেতনতা।
বসন্ত একটি ভাইরাসঘটিত রোগ, যা প্রধানত শীত ও বসন্তকালের সন্ধিক্ষণে সংক্রমিত করে। কিন্তু এখন বসন্ত রোগটি প্রায় সব ঋতুতেই দেখা যায়। রোগটির যথাযথ চিকিৎসা না করালে ফল মারাত্মক হতে পারে।
বসন্তের ধরন
সাধারণত বসন্ত দুই ধরনের হয়। একটি জলবসন্ত, অন্যটি গুটিবসন্ত। তবে সাধারণত এখন মানুষ আক্রান্ত হয় জলবসন্তে। টিকাকরণের মাধ্যমে গুটিবসন্ত রোগটি সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৮০ সালে গুটিবসন্তকে বিশ্বব্যাপী বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে।
জলবসন্ত
যে ভাইরাসের মাধ্যমে রোগটি হয় তা হলো ভেরিসেলা ডোস্টার ভাইরাস। এ ধরনের বসন্তে শরীরে জ্বর হয়। এর সঙ্গে তীব্র চুলকানিসহ সারা গায়ে ফুসকুড়ি বেরোয়।