করোনার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকার জাহাজ ভাঙা শিল্প। ব্যস্ততা বেড়েছে নির্মাণশিল্পে। দেশের স্টিল রি-রোলিং মিলগুলোতেও বেড়েছে উৎপাদন। রডের চাহিদা বাড়ায় জাহাজ ভেঙে পাওয়া স্ক্র্যাপের (কাঁচামাল) চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। গত এক বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৬২টি পুরনো জাহাজ আমদানি করা হয়েছে। এসব জাহাজের আমদানি খরচ ১২ হাজার ২০৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
জাহাজ ভাঙা শিল্পের ওপর নির্ভরশীল ৫ লাখ মানুষ
সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট থেকে বারো আউলিয়া পর্যন্ত উপকূলের ২০ কিলোমিটারজুড়ে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। জাহাজ ভাঙার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে ৫৮টি ইয়ার্ড। এই কাজে প্রায় ৫০ হাজার লোকজন সরাসরি জড়িত। পরোক্ষভাবে আরও প্রায় পাঁচ লাখ লোকজন এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিটি জাহাজ ভাঙার জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়। কোন জাহাজ ভাঙতে কত লোক লাগবে, জাহাজের আকারের ওপর নির্ভর করে নিয়োগ দেওয়া হয়। ছোট জাহাজ ভাঙতে ৩০০-৪০০ শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। বড় জাহাজ ভাঙতে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়।