পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই অন্যকে নিয়ে ভেবে যে সময় পার করে দেয় সে সময়ের এক চতুর্থাংশ সময় যদি নিজেকে নিয়ে ভাবত, নিজেকে ভালো রাখার পথ খুঁজত তাহলে আপনার আশপাশে হয়তো এত আত্মহত্যা, জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা আর জীবনকে হাজারো অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতো না। কথাটা প্রথম ভাবনাই অনেকে নিতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। কারণ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তা চেতনা তো সব অন্য মানুষকে ঘিরে।
কে আমার কথায় কষ্ট পেল, কে কী ভাবল, কাকে কী দিলে সে খুশি হবে, কী বললে সে একটু আনন্দ পাবে এমন চিন্তা করতেই আমাদের দিন রাতের অর্ধেক সময় পার হয়ে যায়। কিন্তু কখনও আমরা আমাদের নিজেদেরকে ভালো রাখার জন্য কিছু করা তো দূরেই থাকুক একটু ভাবনার সময়ও হয়ে উঠে না। ক্রমশ আমরা যেন এই পথটি ধরে অনেক দূর এগিয়ে চলেছি। যেখানে শুধু বাড়ছে হতাশা, দুঃখ-কষ্ট আর মানসিক যন্ত্রণা।
আর অন্যদিকে ঘাটতি পড়ছে নিজের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা, ভালোবাসার সেই মূল জায়গাটিতে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পর্কের বাইরে গিয়ে আমরা সামাজিক সম্পর্ক আর বন্ধুত্বের সম্পর্কে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলছি। আর তখনই আমরা পড়ছি শুভংকরের ফাঁকিতে। নিজেকে ফেলে দিচ্ছি ঠাঁই না পাওয়া অথই জলে। আর এমন সম্পর্কের স্থায়িত্বের ভাবনায় যখন ফাটল ধরছে তখনই আমরা বেঁচে নিচ্ছি জীবনের পথকে স্তব্ধ করার।