রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার: বিশ্বকে এক হতে হবে

ডেইলি স্টার সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:৪৫

রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার ঘটনায় ২ বছর আগে গাম্বিয়ার করা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নতুন করে শুনানির উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। ২ দফায় এ শুনানি সোমবার শুরু হয়।


রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য মিয়ানমারকে জবাবদিহি করতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে গাম্বিয়া ২০১৯ সালের নভেম্বরে এ মামলা করে। প্রাথমিক শুনানি শেষে, আদালত দাবিগুলোকে যথাযথ বলে মনে করেন এবং রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা বন্ধে অস্থায়ী ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমারকে নির্দেশ দেন। এরপর ২ বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার এখনো তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া বা অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি দেশটি।


মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের অক্টোবর এবং ২০১৭ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইনে ১১ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করে। পুলিশ ও বেসামরিক অস্ত্রধারীদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুদের ওপর গণহত্যা চালায়, ধর্ষণ করে এবং উত্তর রাখাইনের ৩টি জনপদের কয়েকশ গ্রাম ধ্বংস করে। শুধু ২০১৭ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেই প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে, ৮০'র দশক থেকেই নির্যাতনের শিকার হয়ে ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বাস করছিল।


জাতিসংঘের স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনও গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে ১০০ জনের বেশি লোকের একটি গোপন তালিকা তৈরি করেছে। তা স্বত্বেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us