সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের পাশাপাশি আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখা টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সদিচ্ছা ও যোগ্যতার অভাব রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী, ঋণ, কর ও বিলখেলাপি এবং দুর্নীতিবাজরা যেন অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য নতুন নির্বাচন কমিশনকে দৃঢ় অবস্থান দেখাতে হবে। শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের সদিচ্ছা’ শীর্ষক ছায়াসংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ড. দেবপ্রিয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ব্যাংকগুলো মধ্যরাতে সভা করে ঋণখেলাপিদের দায়মুক্তি দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া নৈতিকতাবিরোধী। যে পরিমাণ ঋণ আদায় করা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি অবলোপন করা হয়। ব্যাংকিং খাতে ১০ শতাংশ ঋণখেলাপির যে তথ্য দেওয়া হয় সেটি সঠিক নয়। কোনো ঋণখেলাপি যাতে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের সদস্য হতে না পারে সে বিষয়ে ব্যাংক মালিকদের সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে ঋণখেলাপি ও আর্থিক খাতে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন টেকসই হবে না।