একটা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বহির্বাণিজ্য দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। একটি আরেকটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ কারণে উভয় ধরনের বাণিজ্য বিকাশের পথ সরকারকে উন্মুক্ত রাখতে হয়, অবাধ করতে হয়। আবার বাণিজ্য যাতে সামাজিক ও মানবিক কল্যাণ থেকে বিচ্যুত না হয় এবং সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, সে জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ আরোপও করতে হয়।
বাণিজ্য বাধা দূর করতে আমাদের বিশেষজ্ঞরা নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, নীতিনির্ধারকরাও নানা উদ্যোগ নেন। কিন্তু বাস্তবায়নটা হয় খুব ধীরলয়ে। ফলে এই সময়ে এসেও আমাদের ব্যবসা ও বিনিয়োগে নানা প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান। এর মধ্যেই নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা ও আসন্ন ঝুঁকি পর্যালোচনা করতে হবে।
আমাদের অভ্যন্তরীণ ও বহির্বাণিজ্যে সমস্যাগুলোর সমাধানে কতগুলো বিষয় বিশেষ বিবেচনায় নিতে হবে। প্রথমত, বহির্বাণিজ্যের জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনশীলতা যে মাত্রায় থাকার কথা সেটা নেই। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে পাঠানোর সক্ষমতা আমাদের অপেক্ষাকৃত কম। দ্বিতীয়ত, সব ক্ষেত্রে আমরা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি। তৃতীয়ত, শিল্প-যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আনতে হয়। এটা ঠিক যে কোনো দেশই শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তবে ঘাটতির একটা যৌক্তিক পর্যায় থাকতে হয়। এ জন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানিনির্ভরতার ক্ষেত্রগুলো কিভাবে আরো কমিয়ে আনা যায় সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার। বাইরের দেশগুলোর চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে আমাদের রপ্তানি পণ্য উৎপাদন এবং বাজার সৃষ্টি করতে হবে এবং বাইরে থেকে পণ্য সাশ্রয়মূল্যে আমাদের আনতে হবে।