নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এখন সংবাদমাধ্যম সরগরম। প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়নের মাধ্যমে যে 'সার্চ কমিটি' গঠিত হয়েছে, তারা রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও ব্যক্তিবিশেষের কাছ থেকেও ইতোমধ্যে সম্ভাব্য নির্বাচন কমিশনারদের নামের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। আসন্ন সেই নির্বাচন কমিশনে যে কমপক্ষে একজন নারী রাখা হবে- এটা অনেকটা অনিবার্য। কারণ বিদায়ী নির্বাচন কমিশনেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী কমিশনার নিযুক্ত হয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের নারী সদস্য অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য। কিন্তু আরও বেশি সাধুবাদযোগ্য হবে যদি যোগ্যতার বিচারে নারী কমিশনার যুক্ত হন। এমনকি যথোপযুক্ত যোগ্যতা থাকলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবেও একজন নারী অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। তার মানে, পুরুষ-মহিলার চেয়ে বড় বিষয় হলো যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া। কোনো অযোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনে একাধিক নারী কমিশনারও নিয়োগ পেতে পারেন, যদি তাদের যোগ্যতা থাকে।