উত্তরবঙ্গের মানুষজন চোখে কম দেখাকে বলেন, চোখে কুয়াশা পড়েছে। সহজ, সরল অভিব্যক্তি। যে কেউ প্রথম ধাক্কায় কথার মানে খুঁজে পেতে কিছুটা চিন্তিত হবেন; বিশেষ করে যাঁরা ‘চোখে কুয়াশা’ কথাটার সঙ্গে মোটেও পরিচিত নন, জানেন না কিংবা এর আগে শোনেননি। বাস্তবতা হলো, ওখানকার সাধারণ মানুষের চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে তাঁরা এভাবেই নিজের সমস্যার কথা প্রকাশ করেন।
শহরের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষজন যতটা সহজে জানতে পারেন যে চোখে ছানি পড়লে তাঁরা আর স্পষ্ট দেখতে পান না, তাঁদের দৃষ্টিশক্তি তথা আলো কমে আসে, গ্রামগঞ্জের সহজ-সরল মানুষজন তত সহজে জানতে পারেন না যে ছানির কারণেই তাঁর দৃষ্টিশক্তি বা আলো কমে গেছে; বরং অধিক, অতিসরলতার কারণেই তাঁরা মনে করেন এবং বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে চোখে কুয়াশা পড়েছে। সাধারণত এই কুয়াশা মধ্য কিংবা প্রবীণ বয়সে দেখা দেয়; অর্থাৎ জীবনের পরিণত পর্যায়ে।