চার বছর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশব্যাপী মাদকবিরোধী যে বিশেষ অভিযান শুরু করেছিল, তার কেন্দ্রে ছিল কক্সবাজার। ওই বিশেষ অভিযান শুরুর পর এই জেলায় গত সাড়ে তিন বছরে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ২৯৯ জন। আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন ১২৩ জন মাদক কারবারি। তারপরও জেলাটিতে মাদকের ব্যবসা থামেনি, বরং ইয়াবার পাশাপাশি এখন আরও ভয়ংকর মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথেরও প্রধান প্রবেশপথ হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এই জেলা। সেখান থেকে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।
সারা দেশে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয় ২০১৮ সালের ৪ মে। অভিযানের স্লোগান ছিল ‘চল যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’। এই অভিযানের সময় একের পর এক সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার বিষয়টি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছিল কক্সবাজারে।
সরকারি বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার মাদক উদ্ধারের যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়, তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কক্সবাজার হয়ে দেশে ইয়াবা চোরাচালান কমেনি। উল্টো বছর বছর বেড়েছে। যেমন বিশেষ অভিযান শুরুর আগের বছর ২০১৭ সালে কক্সবাজারে প্রায় ৮৬ লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার হয়েছিল। ২০১৮ সালে উদ্ধার করা হয় ১ কোটি ২৮ লাখ ইয়াবা বড়ি। এরপর থেকে প্রতিবছর এই সংখ্যা শুধু বেড়েছে। সর্বশেষ গত বছর উদ্ধার হয় আড়াই কোটির বেশি ইয়াবা।