আরশানের বয়স চার বছর। তাকে নিয়ে বেশ সমস্যায় আছেন ওর মা-বাবা। আরশানের মা খেয়াল করলেন, তার মনঃসংযোগ আগের থেকে বেশ কম। শুধু পড়াশোনা বলে নয়, গল্পের বই পড়া হোক বা বাড়ির ছোটখাটো কাজে- কোনোটাই মন দিয়ে করে না। ঠিক একই সমস্যা নিধি ও শায়ানেরও।
লকডাউনের ফলে বাড়িতে বসে ক্লাস করার যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাচ্চারা, তারই প্রভাব কিনা বুঝতে পারছেন না তারা। দীর্ঘদিন ধরে ক্লাসরুম এক্সপিরিয়েন্স থেকে বঞ্চিত ওরা। টিচারদের সঙ্গে মুখোমুখি ইন্টারঅ্যাকশনের সুযোগ নেই। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ নেই।
অনলাইনে অ্যাসাইমেন্ট জমা দেওয়া, পরীক্ষা দেওয়ার চাপ। তা ছাড়া বড়রা যতটা বেরিয়েছে, ছোটরা তো সেভাবে বেরোতে পারেনি। ওরা সেই চার দেয়ালের মধ্যেই বন্দি থেকেছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। যদিও এসব কিছুর সঙ্গেই এত দিনে মোটামুটি মানিয়ে নিয়েছে ওরা।
কিন্তু অনেক বাচ্চার ওপরই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কারও কারও মেজাজে পরিবর্তন দেখা গেছে। অল্পতেই রেগে যাচ্ছে বা ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছে তারা। মন-খারাপ রোগে ভুগছে অনেকে। কারও কারও আবার মনোযোগে ঘাটতি হচ্ছে। কোনো বিষয়েই ঠিকভাবে মনঃসংযোগ করতে পারছে না তারা। এর অবশ্য প্রতিকারও রয়েছে।