নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ পাওয়ার অন্যতম যোগ্যতা হচ্ছে প্রমাণিত প্রশাসনিক দক্ষতা। এর আগের কমিশনেও সাবেক আমলারা নিয়োগ পেয়েছেন। এবারে সার্চ কমিটির কাছে যাঁদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আমলার সংখ্যা বেশি। কিন্তু আমার মনে হয়, এসব পূর্বনির্ধারিত বিষয়।
কতজনের নাম প্রস্তাব এলো, কোন পেশার কতজনের নাম তালিকায় প্রকাশিত হলো, এটা কোনো বড় বিষয় নয়। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে স্বচ্ছতা রক্ষা করতে হলে প্রস্তাবকারী দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করতে হবে। প্রস্তাবকারীদের নাম প্রকাশ করা তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ।
আমরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে স্বচ্ছতা চেয়েছিলাম, তালিকা প্রকাশ করার দাবি করেছিলাম। কিন্তু যেভাবে এটা প্রকাশ করা হয়েছে তা অসম্পূর্ণ। অতীতে নির্বাচন কমিশন গঠন ‘পূর্বনির্ধারিত’ বলে অভিযোগ ছিল। সে কারণে এবার প্রস্তাবকারীদের নাম প্রকাশ হওয়া দরকার।
এবারের অনুসন্ধান কমিটিকে তার কার্যপ্রণালীতে ‘স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণের’ নির্দেশনা দেওয়া আছে। স্বচ্ছতা তখনই নিশ্চিত হয়, যখন কোনো প্রাসঙ্গিক তথ্য গোপন না রাখা হয়। তাই পরিপূর্ণ স্বচ্ছতার খাতিরে কে কার এবং কোন রাজনৈতিক দল/সংগঠন/ব্যক্তি কার নাম প্রস্তাব করেছে, তা প্রকাশ করার জন্য আমরা অনুসন্ধান কমিটিকে অনুরোধ করছি।