বাংলাদেশে নির্বাচনী তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন আগেই। আওয়ামী লীগ পুরোপুরি মাঠে নেমেছে। বিএনপির তোড়জোড় কম নয়। কিন্তু এখনো অনেকের মনে সন্দেহ, বর্তমান নির্বাচনকে বিএনপি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পর্কিত যে বৈঠক মহামান্য রাষ্ট্রপতি ডেকেছিলেন তাতে বিএনপি যায়নি। অন্যদেরও না যেতে পরামর্শ দিয়েছে। তাতে অনেকে মনে করেন, বিএনপি হয়তো এই নির্বাচনে হালকাভাবে যাবে। জয়-পরাজয়কে গুরুত্ব দেবে না। কারণ নির্বাচনে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনো নেতা তাদের নেই। তারা এবারের নির্বাচনকে হালকাভাবে নিয়ে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হবে। তখন তারেক রহমানের মেয়েকে দলীয় নেতৃত্বে টেনে নিয়ে আসা যাবে।
দেশের অনেকের এ ধারণাটি সত্য হতে পারে। কিন্তু আমার ধারণা, বিএনপি এবারের নির্বাচনে সিরিয়াসলি যাবে। এবার আর তারা যুক্তফ্রন্টের জন্য নেতা ভাড়া করবে না। তারেক রহমানই লন্ডনে বসে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচনযুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন। বিএনপি আশা করে তারা এবার বিপুলভাবে জয়লাভ করবে। তাহলে তাদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের জন্য দণ্ড মওকুফ করিয়ে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। তারপর তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে। ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে কোনো একটি উপনির্বাচনে জয়ী হতে হবে। এই ব্যবস্থাটি করা হবে। আমার আরো ধারণা, খালেদা জিয়ার দণ্ডও মওকুফ করে বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হলে তাঁকেই দেশের প্রেসিডেন্ট করা হবে। তারেক রহমানের সম্ভাব্য মন্ত্রিসভায় জুনিয়র জামায়াতি নেতাদের ভিড় দেখা যাবে।
সত্যই যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে আগে যে কাজগুলো তারা করেনি সেই কাজগুলো তখন করবে। এ কাজগুলো হলো জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা পরিবর্তন। জাতির পিতার মর্যাদায় তারা হাত দিতে প্রথমে সাহস করবে না। কিন্তু তার পাশাপাশি জিয়াউর রহমানকে টেনে তোলার চেষ্টা করা হবে। বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে আমেরিকাকে বাংলাদেশে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে অথবা চীনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য চীনকেই বাংলাদেশে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের সুযোগ দেবে।