বাংলাদেশের জনমিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দশক থেকেই বাংলাদেশে বয়স্ক বা প্রবীণদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকবে এবং ২৫ বছর পরেই বাংলাদেশ পরিণত হবে একটি বয়স্ক সোসাইটিতে।
অথচ বার্ধক্য নিয়ে মানুষের নিজেদের মধ্যেও যেমন কোন চিন্তা করতে দেখা যায় না তেমনি প্রবীণদের জন্য সম্মানের সাথে আনন্দমুখর বার্ধক্য নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগও নেই।
কিছু ওল্ড হোম বা প্রবীণ নিবাস থাকলেও সেগুলোতে যারা থাকেন তাদের নিয়ে নেতিবাচক প্রচারই বেশি হয় । যেমন বলা হয় ছেলে মেয়েরা বাসায় থাকতে দেয় না কিংবা খোঁজ খবর নেয় না বলেই তারা এখানে।
অথচ পরিবার কাঠামো এবং বাস্তবতা বিবেচনা করলে বয়স্কদের জন্য অনেক সময় চাইলেও সন্তানরা পর্যাপ্ত সময় দিয়ে সেবা করতে পারে না।
তাই নেতিবাচকভাবে না দেখে বরং ইতিবাচক দৃষ্টি থেকেই প্রবীণ নিবাসের মতো প্রাতিষ্ঠানিক কেয়ারের চিন্তা করা উচিত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক এ এস এম আতীকুর রহমান, যিনি ১৯৮১ সাল থেকে প্রবীণদের নিয়ে কাজ করছেন।
তিনি বলছেন, "প্রতি উপজেলায় প্রবীণ নিবাস হওয়া উচিত। একজন মানুষ অবসরজীবন কিভাবে কাটাবে, তার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি কিভাবে নিশ্চিত হবে। এগুলো নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নেয়া দরকার"।