বসতভিটাসহ ৩২ বিঘা জমির মালিক ছিলেন বগুড়ার সারিয়াকান্দির পাকুরিয়ার চরের বাসিন্দা সাহেব আলী। সংসারে ছিল সচ্ছলতা। এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব তিনি। যমুনা নদীর ভাঙনে চর বিলীন হওয়ার পর থাকার মতো জায়গাটুকু নেই তাঁর। পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকছেন নদীর ওপারে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর বেড়ার ঘর তুলে।
একই এলাকায় বসতবাড়িসহ ফসলি জমি ছিল মেহের আলীর (৬৫)। জমিজমা ও বসতভিটা নদীতে হারিয়ে তিনি এখন পরিবারসহ আশ্রয় নিয়েছেন নদীর ওপারে সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধে।
কয়েক দিন আগে পাকুরিয়ার চরের খেয়াঘাটে কথা হয় মেহের আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালের বন্যার পর থেকে ২৩ দফা বসতবাড়ি ভেঙেছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ৫২ বিঘা আবাদি জমি। ২০১৫ সালে শেষ সম্বল বসতভিটাও নদীতে ভেঙে যায়। কূলকিনারা না পেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওঠেন সোনাতলা উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।