যে মানুষটির চোখে আশ্চর্য এক কষ্ট দেখেছিলাম তার নাম কী ছিল কখনো জানতে চাইনি বা প্রয়োজনও মনে করিনি হয়তো। শুধু একটি শব্দের সঙ্গেই তখন পরিচিত ছিলাম। যেটি ছিল খুব কমন। অনেকটাই অচ্ছুৎ! শুনলেই খুব খারাপ লাগত, উচ্চারণ করতে এখনো খারাপ লাগে। হিজড়া। শব্দটি দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতিতে ব্যবহৃত বলে জানি। পরে যে শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিত হই তা হলো- ট্রান্সজেন্ডার, তৃতীয় লিঙ্গ এ রকম। বেশিরভাগ মানুষ এই শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিত নন।
এই শব্দগুলো শুনলেই আমাদের চোখ বড় হয়ে যায় কিংবা কুঁচকে আসে। হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ, এরা জন্ম থেকেই ত্রæটি নিয়ে জন্মায়। এদের নারী কিংবা পুরুষ কোনোটারই পূর্ণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায় না। নিজেদের আইডেন্টিটি ক্রাইসেস ও সামাজিক পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে এক সময় সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হিজড়া কমিউনিটির সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়। আর ট্রান্সজেন্ডার হচ্ছে পুরুষ হয়ে জন্ম নিয়েও মনের দিক থেকে নারী, নারী হয়ে থাকতে এরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আবার নারী হয়ে জন্ম নিয়েও পুরুষের মতো থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন যারা তারাও ট্রান্সজেন্ডার। একটা সময়ে সামর্থ্য থাকলে সার্জারির মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে পছন্দমতো লিঙ্গে রূপান্তরিত হন এরা।