গত কিছুদিন দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে বারবার প্রকাশিত হয়েছে দেশের চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে সংবাদ। গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করার কারণে সেই সংবাদ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অনেক মানুষের, বিস্তর আলোচনা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এই সংবাদ এবং আলোচনা সুনির্মিত কোনো বাংলাদেশি ছবি বা দেশের কোনো অভিনয়শিল্পীর উঁচুমানের অভিনয় নিয়ে নয়। নিয়মিত খবর প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর একজন চিত্রনায়ক আর একজন চিত্রনায়িকার মধ্যে কে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন তা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে এ নিয়ে। এমনটি দেখার পর এই প্রশ্নটি মনে আসে, যতটা আগ্রহ নিয়ে এই খবর বারবার গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদপত্রে ছাপা হলো, ততটা আগ্রহ নিয়ে কি কিছু জরুরি প্রশ্ন যেমন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র গত কয়েক দশকে উঁচু মান অর্জন করতে পেরেছে কিনা, সত্যিকারের সুনির্মিত চলচ্চিত্রের রূপ কেমন, কী কী কারণে কারও অভিনয় হয়ে ওঠে শক্তিশালী এ-সংক্রান্ত বিশ্নেষণ আমাদের সংবাদপত্র এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়?
গণমাধ্যমের কাজ কেবল তথ্য প্রদান এবং বিনোদন জোগানো নয়। পাঠক-দর্শককে কোনো বিষয় সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষিত এবং আলোকিত করে তোলাও গণমাধ্যমের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। যে কোনো দেশের জন্যই চলচ্চিত্র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিল্পমাধ্যম। রুশ বিপ্লবের পর লেনিন সেই সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক কমিশনার লুনাচারস্কিকে বলেছিলেন, মানুষের বিপ্লবী চেতনা সমুন্নত রাখার ব্যাপারে শিল্পমাধ্যমগুলোর মধ্যে চলচ্চিত্র তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তাঋদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে পরিচালিত বিপ্লব-পরবর্তী কিউবার সমাজব্যবস্থাতেও।