পৃথিবীকে বদল করার কাজটা আসলে করতে হবে মেহনতি মানুষকেই। আগামী দিনে পুঁজিবাদকে তারা আরো পরিষ্কারভাবে শত্রু হিসেবে চিনে ফেলবে। হৃদয় ও বুদ্ধিকে একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে। তবে তাদের ওই জ্ঞান ও উপলব্ধি বৃদ্ধির ব্যাপারে বুদ্ধিজীবীদের একটা ভূমিকা থাকা চাই।
যাঁরা যথার্থ বুদ্ধিজীবী তাঁদের। অর্থাৎ যাঁরা মনে করেন যা ঘটছে ও ঘটতে যাচ্ছে তা ঠিক নয়, পরিবর্তন চাই। এটা যাঁরা না ভাবেন তাঁরা তো আসলে বুদ্ধিজীবীই নন, অন্য যাই হোন। পুঁজিবাদ বুদ্ধিজীবীদের ওই কাজ থেকে বিরত রাখতে জোরেশোরে চেষ্টা চালাবে। আশা করা যায়, সফল হবে না। মানুষের সংজ্ঞা হচ্ছে, সে একটি বুদ্ধিমান প্রাণী। সেই বুদ্ধিকে যন্ত্রের গোলামে পরিণত হতে দিয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়তে মানুষ নিশ্চয়ই সম্মত হবে না। ভরসাটা সেখানেই।