চলছে শীতের মৌসুম। শীতকাল এলেই আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। শহর থেকে মানুষজন গ্রামের আত্মীয়ের বাড়ি আসেন শীতের আমেজ পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করার জন্য। এ সময় গাছিরা খেজুর গাছের ডাল-পালা পরিষ্কার করে গাছের কাণ্ড কাটেন। তাতে বাঁশের চোঙা বসিয়ে দিয়ে তার সাথে মাটির হাঁড়ি, বড় বোতলের মুখ কেটে চোঙের সাথে লাগিয়ে রস সংগ্রহ করে থাকেন। সন্ধ্যায় লাগালে সারা রাতে ফোঁটা ফোঁটা করে রস জমা হয়ে রাত শেষে প্রতি গাছ থেকে প্রায় ৬ থেকে ৭ লিটার রস পাওয়া যায়।
শীতের কুয়াশা জড়ানো ভোরে গাছিরা রস ভর্তি হাঁড়িগুলো গাছ থেকে নামায়। এ সময় অনেকেই সরাসরি কাঁচা রস পান করে থাকে। কারণ কাঁচা অবস্থায় রসের আসল স্বাদ পাওয়া যায়। কিন্তু এই কাঁচা রস সরাসরি পান করা নিরাপদ নয়। কারণ হাঁড়িতে জমা হওয়া রসের প্রতি অন্যান্য পশু-পাখিরও আকর্ষণ থাকে। বিষাক্ত সাপ, বাদুড় এবং অন্যান্য কীট-পতঙ্গ কাঁচা রসের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে হাঁড়ি থেকে রস খায়। এভাবে পুরো পাতিলের রস বিষাক্ত হয়ে যায় যা অনেক সময় মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে।