দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের জল-স্থল-অন্তরিক্ষে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু লবিস্ট নিয়োগের ঘটনা। কে, কত টাকায়, কোথায় লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, লবিস্ট নিয়োগে কী ফল পাওয়া গেছে, লবিস্ট নিয়োগের টাকা কোথা থেকে এসেছে ইত্যাদি নিয়ে প্রায় প্রতিদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির নেতারা বাগ্যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এরই মধ্যে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ও পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকসের একটি বক্তব্য নিয়েও পরস্পরবিরোধী কথা শোনা যাচ্ছে। বাসস পরিবেশিত খবরে বলা হয়, গত সোমবার নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় একটি তহবিল সংগ্রহের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না। কিন্তু মানবজমিন তাঁর বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপের বাংলা ভাষান্তর ছেপেছে। এতে দেখা যায়, ওই কংগ্রেস সদস্য এ রকম কোনো আশ্বাস দেননি, বরং বলেছেন, বাংলাদেশের প্রকৃত পরিস্থিতি জানতে তিনি সেখানে যেতে চান। ঢাকায় যে নতুন রাষ্ট্রদূত যাচ্ছেন, তাঁর কাছ থেকেও খবর নেবেন, সবার কথা শুনবেন। এরপর বাংলাদেশ বিষয়ে তাঁর মতামত জানাবেন। মিকস আরেকটি কথা বলেন, ২০২৩ সালের নির্বাচন তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চান।
ধারণা করি, লবিস্ট নিয়োগ বিতর্ক ২০২৩ সালের নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। মন্ত্রীদের অভিযোগ, বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে আর সরকার সেই ষড়যন্ত্র রুখতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। বিএনপির পাল্টা জবাব, সরকার যে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করছে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা হত্যা ও গুমের শিকার হচ্ছেন, সেসব তারা উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে তুলে ধরছে।