জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ও দেশে গ্রন্থাগারের অগ্রযাত্রা

চ্যানেল আই নুরুল আলম অপু প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৩৯

৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। ২০১৮ সাল থেকে দেশে জাতীয়ভাবে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়েছে ‘সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার ডিজিটাল গ্রন্থাগার’। অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি প্রতিপাদ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মেলাতে প্রতিটি পেশায়, প্রতিটি খাতে চলছে অটোমেশন ও ডিজিটাইজেশন। অনেক খাত বেশ এগিয়ে গেছে। দেশের গ্রন্থাগারসমূহও সারা বিশ্ব তথা ডিজিটাল বাংলোদেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে। দেশে আশি’র দশকে প্রথম আইসিডিডিআর,বি ও কৃষি তথ্য কেন্দ্রে কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে ডাটাবেজ তৈরির কাজ শুরু হয়। সে সময়ের কমান্ড লাইন ইন্টারফেস ভিত্তিক সফটঅয়্যার দিয়েই তৈরি হতো ডাটাবেজ। ইউনেস্কোর সিডিএস/আইএসআইএস বেশ জনপ্রিয় হয় এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।পরবর্তীতে কম্পিউটার প্রযুক্তি ‍ও অপারেটিং সিস্টেমের ব্যাপক উন্নতি সাধন হলে লাইব্রেরি অটোমেশন ও ডিজিটাইজেশনের জন্যও অনেক সফটঅয়্যার তৈরি হয়। সেগুলোর বেশিরভাগই ওয়েব ভিত্তিক হওয়ায় ইন্টারনেট বা ইন্ট্রানেট ব্যবহার করে গ্রন্থাগার ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন গ্রন্থাগারসমূহ সে সকল সফটঅয়্যার ব্যবহার করে শুরু করে অটোমেশন ও ডিজিটাইজেশন। বর্তমানে দেশের প্রায় সকল উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাগারসমূহ কোন না কোন সফটঅয়্যার ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় গ্রন্থাগার সেবা প্রদান করছে।


দেশে গ্রন্থাগার অটোমেশন ও ডিজিটাইজেশনের বর্তমান চিত্র খুঁজতে গেলে দেখা যায় যে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এখানেও আধুনিক সকল প্রকার সেবা প্রদান করা হচ্ছে। অটোমেশন সম্পন্ন গ্রন্থাগারসমূহে সকল বইয়ের বিবলিওগ্রাফিক তথ্য এখন কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনেই পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা অনলাইনে বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে এমনকী কভারসহ সূচীপত্র দেখার বা কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু অংশ পড়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে বইটি তার উদ্দেশ্য সাধন করবে কী না। চাইলে অনলাইনেই দেওয়া যায় রিকুইজিশন। বই ইস্যু-রিটার্নের কাজ করা হচ্ছে সফটঅয়্যার ব্যবহার করে। মেয়াদ শেষের আগে ও পরে ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন নোটিফিকেশন ইমেইল ও মেসেজ। অনেকেই আবার অনলাইনেই বইয়ের মেয়াদ বাড়িয়ে নিচ্ছেন। কাঙ্খিত বইটি গ্রন্থাগারে না থাকলে সেটি কেনার অনুরোধও অনলাইনে করা যায়। আবার প্রয়োজনীয় বইটি অন্যের কাছে ধারে থাকলে সেটি ফেরত আসার পর যেন পাওয়া যায় বা গ্রন্থাগারে থাকা বইটি যেন তার পৌছার আগেই অন্য কেউ না নিয়ে যায় সেরকম রিজার্ভেশনও দেওয়া যায়।


অটোমেশনের পাশাপাশি অনেক গ্রন্থাগারে এখন ডিজিটাল লাইব্রেরি’র সুবিধা পাওয়া যায়। প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারসমূহে রয়েছে নিজস্ব ইনস্টিটিউশনাল রিপোজিটরি। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রকাশনাসহ অনুমতিপ্রাপ্ত প্রকাশনাসমূহের সফটকপি থাকছে এই ইনস্টিটিউশনাল রিপোজিটরিতে। ব্যবহারকারীরা গ্রন্থাগারে না গিয়েই পড়তে পারছে সম্পূর্ণ লেখা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us