খনিতে দীর্ঘ দিন খননকাজ বন্ধ। সেই অব্যবহৃত খনির একটি গোপন কুঠুরিতে রাখা ছিল রাশি রাশি সোনাদানা, গয়নাগাঁটি। বস্তায় ভরা নোটের বান্ডিল। মূল্যবান শিল্পকর্ম। বছরের পর বছর ধরে গোটা ইউরোপ জুড়ে নাৎসিদের লুঠপাটের ওই ধন খুঁজে পেয়েছিল আমেরিকার সেনাবাহিনী।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে খুঁজে পাওয়া সেই ধনসম্পত্তির আর্থিক মূল্য চোখ কপালে তোলার মতো। কী ভাবে সন্ধান পাওয়া গেল ওই বিপুল সম্পত্তি? লুঠের সামগ্রী নিয়ে কী করেছিলেন আমেরিকার সেনারা?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের জার্মানি দখলের পর সে দেশের দিকে পা বাড়িয়েছিল আমেরিকার থার্ড আর্মি। মের্কের্স-কাইজেলবাখ শহরে ঢুকে পড়েছিল তারা। হঠাৎই গোপন সূত্রে খবর এল, শহরের কাছে একটি অব্যবহৃত নুনের খনিতে থরে থরে সোনাদানা লুকিয়ে রেখেছে জার্মান সেনা। সবই নাৎসিদের লুঠের সামগ্রী! সঙ্গে সঙ্গে সে খবর পৌঁছেছিল আমেরিকার সেনার উপরমহলে।
কিছু দিনের মধ্যে থার্ড আর্মির জেনারেল আইজেনহাওয়ার এবং জেনারেল প্যাটন পৌঁছে যান ওই খনিতে। চাক্ষুষ করেন নাৎসিদের লুঠ করা বিপুল সামগ্রী। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি ডলারের সোনা লুঠ করেছিল নাৎসিরা। এমনকি, ইহুদিদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তাঁদের দাঁতে বাঁধানো সোনা বা সোনার সিগারেটের বাক্স বা গয়নাগাঁটি। বাদ পড়েনি সংগ্রহালয়ের শিল্পসামগ্রীও।