কভিডের আক্রমণে ঘরে বসে আছি। ডাক্তারের পথ্য খুবই সামান্য, কিন্তু পারিবারিক চাপ অনেক বেশি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় গরম পানি পান করতে হবে, গরম পানির গড়গড়া করতে হবে। লেবুর শরবত, স্যুপ খেতে হবে। চাপ মনে হলেও বুঝতে বাকি নেই যে এতসব পথ্যের পেছনে রয়েছে ভালোবাসা। কিন্তু ডাক্তারের কথামতো বসে রয়েছি এক কক্ষে। আগেও বলেছি, আমাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন। ইচ্ছে করলেই একটি রুমে একাকী থাকা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশের কোটি মানুষের সে ভাগ্য নেই। তাদের ক্ষমতা নেই একটি পৃথক কক্ষ বের করা। ঘরে তো রয়েছে একটিই কক্ষ। কোথায় তারা পৃথক থাকবে?
ঘরে বসে সময় কাটানোর উপায় হচ্ছে বই পড়া কিংবা সিনেমা দেখা। আধুনিক জীবনে কিছুটা সুবিধা আছে। ইউটিউবে ইচ্ছামতো মুভি দেখা যায়। শুধু তা-ই নয়, আজকাল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে ইউটিউব কেমন করে যেন মনের কথা জানতে পারে। আমাকে একটি মুভি দেখতে বলল। সারভাইভিং উইথ দ্য উলফ। ২০০৭ সালের ছবি। মূল গল্পটি সত্যিকারের ঘটনা অবলম্বনে লিখিত বলে ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল মিশা নামের একটি উপন্যাসে। আট-নয় বছরের একটি মেয়ের জার্মান নািসর অত্যাচার থেকে বেঁচে থাকার কাহিনী। মেয়েটি বেলজিয়ামের ফরাসি ভাষার একটি মেয়ে। কাহিনী সত্য বলে প্রচারিত হলেও অনেকের মনেই সন্দেহ জাগে। অবশ্য লেখিকা অবশেষে স্বীকার করেছেন, কাহিনীটি কাল্পনিক।