আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দ্বিতীয় লকারেও মিলেছে কয়েকটি ব্যাংকের ইস্যুকৃত অসংখ্য চেকবই। এছাড়াও পাওয়া গেছে নগদ দুই হাজার ৫৩০ টাকা। চেকগুলোতে সই রয়েছে ইভ্যালির শীর্ষ কর্মকর্তাদের। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় ধানমন্ডির ইভ্যালি অফিসের নিচতলায় দ্বিতীয় লকারটি কাটা হয়। এতে ট্রেড গাইডলাইন বুক, ইভ্যালির খামে রাখা খালি ভাউচারসহ অপ্রয়োজনীয় নানা কাগজও পাওয়া যায়।
ইভ্যালির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি সংগ্রহ করতে গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা প্রতিষ্ঠানের সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে তাদের ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে তারা পাসওয়ার্ড বা কম্বিনেশন নম্বর না দেওয়ায় আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে প্রথমে ভাঙা হয় একটি লকার। দুপুর আড়াইটার দিকে ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আসেন আদালত কর্তৃক মনোনীত পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ অন্যরা। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ইলেকট্রিক কাটার দিয়ে লকার কাটার কাজ শুরু হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত।