বেসরকারি আইসিডিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের মাশুল বাড়ানোয় উদ্বিগ্ন পোশাক মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এর ফলে রপ্তানি সক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বাড়তি ফ্রেইট, জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত দামের সঙ্গে নতুন করে কনটেইনারের পেছনে বেশি খরচ হলে পোশাক রপ্তানি অর্ডার কমে যাবে বলে জানান তাঁরা। রপ্তানিকারকদের পাশাপাশি চট্টগ্রাম চেম্বারও জানিয়েছে, এতে সব ধরনের আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি আইসিডি মালিকেরা বলছেন, সব দিকের খরচ বেড়েছে। ব্যাংকঋণের সুদ দিতে হচ্ছে। তাঁরা প্রণোদনাসহ কোনো সুযোগ-সুবিধাও পাননি। তাই বাধ্য হয়েই চার্জ বাড়াতে হয়েছে।
এরই মধ্যে বিজিএমইএ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বাড়তি মাশুল আরোপ করার প্রতিকার চেয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে। যদিও বেসরকারি আইসিডি মালিকেরা দাবি করছেন, এ ধরনের চিঠিতে তাঁদের খাটো করা হয়েছে।
জানা যায়, দেশের ১৭টি বেসরকারি ডিপোতে (আইসিডি) কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে মাশুল ২৩ শতাংশ বাড়ানোর কথা জানিয়ে স্টেকহোল্ডারদের চিঠি দিয়েছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এ মাশুল বাস্তবায়নের তাগিদ দিচ্ছেন বেসরকারি আইসিডি মালিকেরা। সব শেষ গত বুধবারও তাঁরা শিপিং লাইনসসহ সংশ্লিষ্টদের তাগাদাপত্র দিয়েছেন। আইসিডি মালিকেরা জানিয়েছেন, নতুন মাশুল বাস্তবায়ন না হলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের পক্ষে ডিপোতে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না।
বিষয়টি নিয়ে হতাশা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে রপ্তানিকারকদের মধ্যে। এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন রপ্তানিতে এমনিতেই অনেক খরচ। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল, ফ্রেইট খরচ বেড়ে গেল। সুতা কিনতে হয় বেশি দামে। সমস্যা হলো আমরা অর্ডার নেওয়ার পর এসব খাতে খরচ বাড়ানো হলো। এখন শুনছি সামনে গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে। এসব বিষয় আমাদের যদি আগে থেকে জানানো হয়, তখন একটা পরিকল্পনা করা যায়। আমাদের অন্তত ছয় মাস আগে জানানো উচিত। তাহলে ক্রেতাদেরও বিষয়টি জানাতে পারি। হঠাৎ করে বাড়ালে আমরা বাড়তি দাম নিতে পারি না, ক্রেতাদের ছাড়তেও পারি না।’ তিনি এখন লোকসান দিয়ে অর্ডার নিচ্ছেন জানিয়ে বলেন, হুটহাট এভাবে চার্জ বাড়ালে ক্রেতারা আমাদের দিকে না এসে যেখানে কম দামে পণ্য পাবে, সেখানে যাবে। এমনিতেই ফ্রেইটের কারণে ক্রেতারা অন্য অপশন খুঁজছে।