ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এড়িয়ে যাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুড পয়জনিং সম্পর্কে মানুষের বিশেষ ধারণা না থাকার কারণে এই অসুখে আক্রান্ত হয়ে অনেক ক্ষেত্রে বহু মানুষের প্রাণহানি পর্যন্ত হয়। সাধারণত পচা, বাসি, অস্বাস্থ্যকর, জীবাণুযুক্ত খাবার ও পানীয় আহার বা পান করলে ফুড পয়জনিং হতে পারে। এ ছাড়া শিশুদেরও একই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
ব্যাকটেরিয়া বা টক্সিনযুক্ত খাবার খেলে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে তলপেটে ব্যথা হওয়ার লক্ষণ দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বারবার বমি হয়। কোনো খাবার পেটে থাকে না। ডায়রিয়া, বারবার বাথরুমে যেতে হয়। ডিহাইড্রেশন দেখা যায়। ক্লান্ত লাগে, কোনো কাজে উৎসাহ পাওয়া যায় না। অনেক সময় জ্বর হয়। টেম্পারেচার যথেষ্ট বেশি থাকে। সারা শরীরে ব্যথা এবং মাথার যন্ত্রণার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
কিছু খাবার যা থেকে ফুড পয়জনিং হতে পারে। দুধ ও অন্যান্য মিল্ক প্রডাক্ট। দুধ ভালো করে না ফুটালে তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। মাংস-কাঁচা মাংস তুলনামূলকভাবে রান্না মাংসের থেকে বেশি নিরাপদ। যদি কাঁচা মাংস ভালো করে প্যাক করে ফ্রিজে রেখে দেন, তাহলে ১৫ দিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। রান্না মাংস দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখা যায় না, নষ্ট হয়ে যায়। ফল-সবজি, কাটা ফল অনেকক্ষণ খোলা পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ফল, শাকসবজির ওপর পোকামাকড় মারার বিষ স্প্রে করা হয়, যা শুধু পানি দিয়ে ধুলে সম্পূর্ণভাবে যায় না এবং শরীরের ক্ষতি করে।