বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় অনেক মৎস্য ঘেরের পাড়ে শোভা পাচ্ছে সরিষার ফুল। জলে মাছ, ডাঙায় হলুদের আভা। সেই সরিষায় মৌমাছির আনাগোনা। বিগত শতকের নব্বইয়ের দশকের আগে যখন মাছের ঘের ছিল না, তখন সমতল মাঠে শীতকালে শোভা পেতো হলুদ সরিষা ক্ষেত।
দীর্ঘ দুই যুগ পরে সেই মাঠকে সরিষার হলুদ-সবুজ রঙে সাজতে দেখে খুশি চাষিরা। ঘেরের পাড়ে সরিষা চাষ আরো বেশি করা হলে, সরিষার পাশাপাশি মধু আহরণ কৃষির জন্য লাভের নবদিগন্তের দ্বার খুলে দিতে পারে বলে জানান চিতলমারী কৃষি কর্মকর্তা।
মৌমাছিরা এক ফুল হতে আরেক ফুলে বিচরণের কারণে নারী-পুরুষ ফুলের পরাগায়ন হয়। সরিষার পরাগায়ন থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছি। এতে একদিকে সরিষার ফলন ভালো হয়, অপরদিকে মূল্যবান মধু পাওয়া যায়। সরিষাক্ষেতের পাশে মৌমাছি চাষ হলে সরিষার ফলন ১০ ভাগ বেড়ে যায়। চিতলমারীতে চলতি বছর প্রায় ১৬৮ হেক্টর জায়গায় সরিষার আবাদ হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ২০২ মেট্রিকটন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। শীতকালে এই সরিষা চাষাবাদ আরো বৃদ্ধির পাশাপাশি মধু আহরণের উদ্যোগ নিলে কৃষি লাভের ক্ষেত্রে নবদিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে। এ কথা জানালেন চিতলমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস।