ইনসুলিন বৃত্তান্ত

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:০৪

ইনসুলিন আবিষ্কৃত হওয়ার আগে ডায়াবেটিসের রোগীরা খুব অল্প বয়সেই মারা যেতেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় আবিষ্কৃত হয়, ডায়াবেটিস রোগীর ইনসুলিন ঘাটতি থাকে আর সেটির উৎস পরিপাক রস নিঃসরণকারী গ্ল্যান্ড ‘প্যানক্রিয়াস’। প্যানক্রিয়াস নিঃসৃত পদার্থটি নিয়ে গবেষণা চলে বিস্তর, কিন্তু সফলতা আসে না। পরবর্তী সময়ে কার্যকর সমাধান দেন দুই চিকিৎসাবিদ—ফ্রেডেরিক ব্যান্টিং ও চার্লস বেস্ট। ১৯২১ সালে ইনসুলিন আবিষ্কার করতে তাঁরা পুরোপুরি সক্ষম হন। লিওনার্ড থমসন প্রথম ডায়াবেটিস রোগী, যাকে ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়। এরপর ডায়াবেটিস আর মারাত্মক নয়, নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ হিসেবে গণ্য হতে থাকে।


গবেষণায় দেখো গেছে, শুধু ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা বা ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করাটাই মুখ্য নয়। রোগীর রক্তে চিনির মাত্রা সারা দিন নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, সেটা খুবই জরুরি। অর্থাৎ খালি পেটে, দুপুরের খাওয়ার আগে, রাতে খাওয়ার আগে ৬-৭ মিলিমোল/লিটার এবং সকাল ও রাতে খাওয়ার পর ৮-১০ মিলিমোল/লিটার রাখতে হবে। গড় ডায়াবেটিস এইচবিএ১সি ৭ শতাংশের নিচে থাকবে। শুধু তা-ই নয়, যত তাড়াতাড়ি ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা যাবে, তত বেশি প্যানক্রিয়াসকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সঙ্গে বিটা সেলকে ধ্বংস হওয়া থেকেও রক্ষা করা যায়। ইনসুলিনের মাধ্যমে রক্তের শর্করা সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, যেটি ট্যাবলেটের মাধ্যমে কষ্টসাধ্য। একটা ভুল ধারণা প্রচলিত আছে, ডায়াবেটিস রোগীর ইনসুলিনই শেষ চিকিৎসা। সত্যিটা হলো, ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ইনসুলিন শেষ চিকিৎসা নয়, বরং শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us