বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে আজ। সুপার পাওয়ার তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বা আজকের রাশিয়ান ফেডারেশন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে অবস্থান নিয়েছিল।
সেই সময়ে দ্বিমেরু বিশ্ব ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান-চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন।
আর সে কারণে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, গত ৫০ বছরে যা পার হয়েছে নানা চড়াই-উৎরাই।
বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় যেখানে জাতীয় স্বার্থই বড় কথা, সেখানে দুই দেশের সম্পর্কের মূল ভিত্তিগুলো কী?
মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন
পাকিস্তানের সাথে সরাসরি বন্ধুত্ব বা তিক্ততার সম্পর্ক ছিল না জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পঞ্চশক্তির অন্যতম তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের।
কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশকে সমর্থনে বৃহৎ শক্তির দেশটির এগিয়ে আসার কারণ হিসেবে বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
সে সময় বিশ্বরাজনীতিতে চলছিল এক অস্থির অবস্থা। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ।
পৃথিবী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে, একদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশসমূহ।
অন্যদিকে কম্যুনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন। উভয়ের লক্ষ্য নিজের প্রভাব বলয় সমৃদ্ধ করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুকসানা কিবরিয়া বলছেন, "ঠিক এই কারণেই সোভিয়েত ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্র-চীন এবং তাদের মিত্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, এবং ভারতের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়।"