দীর্ঘদিন থেকেই কোনো সহযোগিতা না পেয়ে মানুষের কল্যাণের জন্য জোর করেই কাজ করতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে সদ্য বিজয়ী মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জ প্রশাসন, সরকারি দপ্তর, বিআইডব্লিউটিএ, রেলওয়ে এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো কিছুতেই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছে না। এছাড়াও রাজউক ঢাকায় বসে যা ইচ্ছা তাই করছে বলেও মন্তব্য করেছেন এই মেয়র।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘জনপ্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং অভিজ্ঞতা শীর্ষক’ এক ভার্চুয়াল সংলাপে গত শনিবার আইভীর এমন মন্তব্যের পর পুরনো বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিষয়টি নিয়ে নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও কৌতুহল শুরু হয়েছে।
সড়কে যানজট, মামলা করেও অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড বহালতবিয়তে, হকার্স মার্কেট করেও ফুটপাত দখল মুক্ত হয়নি। নদী বন্দরের তীরবর্তী জায়গায়গুলো বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশনা উচ্চ আদালত থেকে এলেও কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া নেই। কেন সব কিছু জোর করে করতে হবে, এই বলেও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন আইভী।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সহসভাপতি রফিউ রাব্বির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আগেও বলেছি। নারায়ণগঞ্জে যে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আছেন তারা শুধু শামীম ওসমানের কথাই শুনেন। এ কারণে সিটি করপোরেশনের মেয়র আইভীকে তারা কোনো সহযোগিতা করতে চান না। বিভিন্ন সময়েই তারা এমন অসহযোগিতা করে আসছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জে এসে তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন না করে কর্তৃত্ব বাহকের মতো কাজ করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, মেয়র মিটিং করলে আমি সেই মিটিংয়ে যাবো। এখানে মাঝামাঝি কোনো রাস্তা নাই। আমি ইতোমধ্যে মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তার সঙ্গে দেখা করার কথাও বলেছি।