প্রাথমিকের শিক্ষকদের কেন স্বতন্ত্র বেতন স্কেল হবে না

প্রথম আলো নাহিদ হাসান প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০০

জেনি, সামিউল, শহীদ, মুনীর, নির্মা ও প্রিনন। সবাই যথাক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাঁরা চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের কড়াই বরিশাল, মনতোলা, খোর্দ বাঁশপাতা ও শাখাহাতী চরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এখনো সরকারি চাকরির বয়স আছে। তাই প্রায় প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় তারা অংশ নেন। বৃহস্পতিবার স্কুল শেষে বিকেলে ঢাকার বাসে চড়ে সকালে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিকেলে আবার চিলমারীর বাসে চড়ে শনিবার স্কুল ধরেন। জ্যামে আটকে পড়লে সেবার আর পরীক্ষা দেওয়া হয় না।


এতে কেউ লটারির মতো আরও ভালো একটা চাকরি পেয়ে যাবেন, অধিকাংশই পাবে না। যেমন সব স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষক পাননি। কিন্তু তাঁদের একই ব্যাচমেটরা কেউ ম্যাজিস্ট্রেট, কেউ জজ, কেউ বিসিএস শিক্ষা, কেউ আরও বড় কিছু হবেন। আর তাঁরা, দুনিয়ার সব হতাশা আর হীনম্মন্যতা নিয়ে ভাববেন, বন্ধুদের ‘বস’ মানার নিয়তিই যেন ছিল তাঁদের কপালে। এবার তাঁরা বিয়ে করে সন্তানের ভেতর ঢুকিয়ে দেবেন পেশাগত জীবনের  প্রতি তীব্র আকাঙ্খা, ভবিষ্যতে বড় পদে আসীন করানোর জন্য আরেক যুদ্ধে নামবেন।


২.
কর কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, পুলিশের উপপরিদর্শক থেকে সহকারী পুলিশ সুপার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ব্লক সুপারভাইজার) থেকে বিসিএস কৃষি, ইউপি সচিব, ব্যাংক কর্মকর্তা সবাই স্নাতক পাস করেই তবে চাকরির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। কিন্তু উপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকার প্রবর্তিত আইসিএস মডেলে এখানে বিসিএস চালু হয়েছে। কিন্তু শিক্ষিত জনগণ গড়ে তুলতে যে বনিয়াদি প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা, সেখানে বিসিএস নেই। ব্রিটিশরা চায়নি তাই স্বাধীন দেশে আমরাও চাই না। অথচ ওপরের সব পেশাতেই প্রাথমিকের মতো স্নাতক পাসই যোগ্যতা। একই যোগ্যতা নিয়ে শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেড আর অন্যরা ৭ম থেকে ১০ম গ্রেডের। অথচ সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদের ১ ও ২ ধারাতেই সুযোগের সমতার কথা বলা আছে। রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোথায় সেই কার্যকর ব্যবস্থা?


অন্যান্য চাকরিতে গড়ে দৈনিক টিফিন ভাতা ২০০ টাকা। আর প্রাথমিকের শিক্ষকেরা মাসে পান ৬০০ টাকা। পাখির মতো কিচিরমিচির শব্দ-ঝড়ের মধ্যে ৪-৫টি ক্লাস নিয়ে একজন শিক্ষক ২০ টাকার নাশতা খান। এমনকি অর্থমন্ত্রীর ভাষায় ‘ঘুষ হলো স্পিডমানি’, সেই স্পিডমানি প্রাপ্তির সম্ভাবনাটুকুও এখানে নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us