২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত শুরু হয়। তখন থেকে আমরা সামগ্রিকভাবে করোনা মোকাবিলা করে আসছি। করোনা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে থেকেই ক্যাপিটাল মার্কেটের লেনদেন কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। যদিও একটি উদার এবং মুক্ত অর্থনীতিতে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকাটা খুবই অস্বাভাবিক ব্যাপার। এটার কারণে পুঁজিবাজার বা দেশের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে একটা নেতিবাচক মেসেজ প্রদান করে। ঠিক এমন অবস্থার মধ্যে আমরা করোনার মধ্যে পড়ি। একজন বিজনেসের ছাত্র বা শিক্ষক হিসেবেই হোক আমরা একটু শঙ্কিত হয়েছিলাম। এই অবস্থাটি কত দিন চলতে থাকবে? অবশ্য আমরা এর কিছুদিন পরই দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামকে নিয়োগ দেন। উনি নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে পুঁজিবাজারকে একটি ট্র্যাকে নিয়ে আসার কার্যক্রম গ্রহণ করেন।
করোনার কারণে অর্থনৈতিকভাবে সব দেশই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনার কারণে কিন্তু কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর কারণ হলো, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক কৃষি, গার্মেন্ট খাতসহ ক্ষতিগ্রস্ত খাতে সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। এর ফলে অর্থনীতির চাকা কিছুটা হলেও সচল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
কিছু বিষয় ছিল আমার কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। যেমন আমাদের গার্মেন্টশিল্প কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পলিসি মেকিংয়ের কারণে সেটা আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এছাড়া আমাদের যেসব লোক বাইরে থাকে তাদের মধ্যে কিছু এক্সিকিউটিভ তো আছে, আর আমাদের যারা মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন তাদের অনেকেই শ্রমিক শ্রেণির। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের শ্রমের বিকল্প নেই। করোনায় বিদেশ থেকে যে পরিমাণ শ্রমিক ফেরত আসবেন বলে মনে হয়েছিল সেটা কিন্তু হয়নি। তবে শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে, এই আতঙ্কে ছিলেন। তারা ফলে ওই দেশে তাদের যে সঞ্চিত টাকা ছিল, তারা সেগুলো দেশে পাঠিয়েছেন। এটা একটা ইতিবাচক দিক ছিল।