একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সে উদ্দেশ্যে বন্ধ করা মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে।শনিবার সকালে থ্রিজি ও ফোরজি বন্ধ এবং রাত পৌনে ১১টা থেকে অপারেটরদের মোবাইলের সব ধরনের ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।এর আগে বৃহস্পতিবার এক নির্দেশনায় দেশে থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল অপারেটররা। তখন শুধু টুজি ইন্টারনেট চালু ছিল। টুজি ইন্টারনেটে ছবি এবং ভিডিও পাঠানো সম্ভব হয় না।মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটের গতি কমানো হলেও ব্রডব্যান্ডের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। তবে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়েগুলোকে জরুরি পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছিল।দেশে বর্তমানে আট কোটি ৬০ লাখের বেশি মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ আছে। এর মধ্যে ছয় কোটি সংযোগের বিপরীতে আছে থ্রিজি সংযোগ।নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে বিপুল সংখ্যক গ্রাহক দ্রুত গতি ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করতে পারেননি।দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভোটের আগেপরে গুজব ছড়ানোসহ নাশকতা বন্ধের জন্যই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।ইসির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর আগে এমন ব্যবস্থা নেয় বিটিআরসি। কমিশনের নির্দেশনায় মোবাইল ইন্টারনেট রোববার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। তার আগেই তা চালু করা হলো।রোববার সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল চারটায় শেষ হয়। এর দুই ঘণ্টা পরই মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হলো।