সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্য কোনো খবরই যেন ভালো খবর নয়। ২০১৫ সালের পর থেকেই এমন ঘটনা দেখা যাচ্ছে। সে সময়কার স্বল্প পরিচিত সালমান সৌদি যুবরাজ থেকে দেশটির ডি-ফ্যাক্টো শাসক হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। তখন থেকেই একের পর এক অঘটন এবং অপকর্মের জন্য দায়ী হয়েছেন তিনি।
ইয়েমেনে ভয়াবহ যুদ্ধ, কাতারের ওপর অবরোধ, লেবাননের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরিকে অপহরণ, সৌদির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নৃশংসভাবে হত্যা, সন্দেহজনক অভিযোগে মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতার, নগদ অর্থের জন্য রিয়াদের বিলাসবহুল রিটজ-কার্লটন হোটেলে বেশ কয়েকজন যুবরাজ এবং ব্যবসায়ীকে নজরবন্দী করাসহ বহু অন্যায়, অঘটনের মূল হোতা তিনি। সৌদি অর্থনীতিতে তেলের ওপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা কমাতে চান যুবরাজ সালমান। কিন্তু এসব কাজের কোনটিই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে সহায়ক ছিল না। খাশোগির হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল সৌদি আরব আয়োজিত একটি বড় ধরনের বিনিয়োগ সম্মেলনের কয়েক সপ্তাহ আগেই।