বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে আকাশপথে ভাড়ার নৈরাজ্য থামছে না। যাত্রীর চাপ বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে অতি মুনাফার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উড়োজাহাজগুলো। গত বছরের অক্টোবর থেকে অতিরিক্ত ভাড়ার এই দৌরাত্ম্য শুরু হলেও সব রেকর্ড ভেঙেছে চলতি জানুয়ারিতে। আড়াই মাস আগেও যেখানে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম, মদিনা, আরব আমিরাতের দুবাই, কাতার, ওমান, কুয়েতসহ অন্যান্য রুটে ইকোনমি ক্লাসের একমুখী ভাড়া ছিল সর্বোচ্চ ২৫-৩০ হাজার টাকার মধ্যে, এখন এই জানুয়ারিতে সেই টিকিটের মূল্য তিন-চার গুণ বেড়ে লাখ টাকা পেরিয়েছে। তাও একটি টিকিট যেন সোনার হরিণ! চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে না!
আগামী মার্চ পর্যন্ত সৌদি আরবের টিকিট নেই ট্রাভেল এজেন্টগুলোর কাছে। ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর অভিযোগ, মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোতে পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকার সুযোগে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এয়ারলাইনসগুলো নিজেদের মতো করে টিকিট ব্লকের জমাজমাট বাণিজ্য করছে। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসও এই সিন্ডিকেটে ঢুকে গেছে। মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রীদের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। স্বাভাবিক সময়ে রিয়াদ, জেদ্দা, মাসকাট ও দুবাই রুটে ইকোনমি ক্লাসের একমুখী ভাড়া ছিল ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।