দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সহজ ও সুন্দর করতে প্রযুক্তির অবদান অনস্বীকার্য। প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন সব উদ্ভাবন যুক্ত হচ্ছে প্রযুক্তি বাজারে। কয়েক দশক আগেও যেসব প্রযুক্তি দেখানো হতো কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্রে, তার বেশির ভাগই আজ স্থান করে নিয়েছে দৈনন্দিন জীবনে। এই যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিং সুবিধা ছাড়া এখনকার স্মার্টফোন চিন্তাও করা যায় না। অথচ কয়েক বছর আগেও দৃশ্যটা এমন ছিল না। আঙুলের স্পর্শে আনলক করা যাবে সেলফোন, করা যাবে নিরাপদ লেনদেন—এমন দৃশ্য কল্পনা করাটাই ছিল রোমাঞ্চকর।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তির সহজলভ্যতার ফলে অনেকটাই সহজ হয়েছে জীবনযাত্রা। ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি ফেস আইডি ব্যবহার করেও সহজেই করা যাচ্ছে অনেক কাজ। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডির মাধ্যমে সংগৃহীত হচ্ছে ব্যক্তিগত বায়োমেট্রিক তথ্য, যা জমা হচ্ছে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এখানে উদ্বেগের কোনো বিষয় আছে কিনা, আর কতটা উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।
বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি সবার মধ্যে স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। বলা বাহুল্য, এ লক্ষ্যে তারা বেশ সফল। পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ঝামেলা এড়ানো যায় বলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আইডি ইত্যাদির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।