শিশু-কিশোরদের সাইবার সচেতন করতে হবে

কালের কণ্ঠ ড. সুলতান মাহমুদ রানা প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৫৬

বর্তমান বাস্তবতায় ইন্টারনেট আমাদের নিত্যসঙ্গী। এখন আমাদের সন্তানরাও ইন্টারনেট সুবিধাকে পড়াশোনা কিংবা অনলাইন ক্লাসের জন্য ব্যবহার করছে। আবার এই ইন্টারনেট সুবিধাই শিশু-কিশোরদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় শিশু-কিশোররা নানা ধরনের ঝুঁকিতে পড়ছে। বেশ কয়েক বছর আগে বুকার পুরস্কার বিজয়ী লেখক হাওয়ার্ড জ্যাকবসন সতর্ক করেছিলেন, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আধিপত্যের কারণে ভবিষ্যতের একটি প্রজন্মের শিশুরা অশিক্ষিত হবে। ব্রিটেনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে জ্যাকবসন বলেছিলেন, স্মার্টফোনের ব্যবহার এবং প্রচুর পরিমাণে ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে নাটকীয়ভাবে তরুণ প্রজন্মের যোগাযোগের পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। আর এসবের কারণে তারা হারাচ্ছে বই পড়ার অভ্যাসও।


ইদানীং শিশু-কিশোররা বই পড়ার চেয়ে শর্টকাট পদ্ধতিতে অধ্যয়নে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। কোনো কৌতূহল তৈরি হলে ইন্টারনেট থেকে সহজেই এর সমাধান করে ফেলছে। এতে অনেক ক্ষেত্রেই তারা লাভবান হচ্ছে। আবার প্রকারান্তরেই যে ওই শিশু ইন্টারনেটনির্ভর হয়ে উঠছে—সেটি নিয়ে আমরা মোটেও ভাবছি না। আগে একসময় বই পড়া, পত্রিকা পড়া আমাদের নিত্য রুটিন ছিল। আমাদের শিশুরাও সেটিতেই অভ্যস্ত ছিল। কিন্তু ইদানীং আমাদের সবারই সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল হাতে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমভিত্তিক খবর বা তথ্যনির্ভরতা বাড়ছে। আমাদের শিশুরাও একই প্রবণতায় নিমগ্ন হচ্ছে।


উপরোল্লিখিত প্রতিবেদনে ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জানান, শুধু তরুণ প্রজন্মই নয়, তিনি নিজেও বইয়ের প্রতি আর তেমন মনোযোগ দিতে পারেন না। কারণ তাঁর মনোযোগের একটা বড় অংশও চলে যায় স্ক্রিন টাইমের পেছনে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে যে পরিমাণ বই পড়তে অভ্যস্ত ছিলাম, এখন আর পড়তে পারি না। আমার মনোযোগ চলে যায় ইলেকট্রনিক সব পর্দার দিকে। আমি সাদা কাগজ চাই, কাগজের ওপর আলো চাই।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us