প্রাচীনকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী রান্নায় খাদ্যের স্বাদ-পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিতে ঘি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বাঙালির রসনায় ঘি একটি অন্যতম প্রধান উপাদান। খাদ্যরসিক বাঙালির রসনার তৃপ্তিতে ঘিয়ের জুড়ি নেই। তাছাড়া পোলাও, কোরমা, বিরিয়ানিসহ যেকোনো মুখরোচক খাদ্যে ঘি এর ব্যবহার প্রায় বাঞ্ছনীয়।
ঘিকে বলা হয় ক্লারিফায়েড বাটার। এতে রয়েছে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ চর্বি। বাকি ০১ শতাংশ জলীয় উপাদান, চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ও দুধের পোড়া অংশ। ঘি মূলত সম্পৃক্ত চর্বি তাই এটি বাইরের তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যায়। গরু, ভেড়া বা ছাগলের দুধ থেকে ঘি বানানো যায়। তবে সাধারণত গরুর দুধ থেকেই ঘি তৈরি করা হয়। দুধ থেকে বাটার বা মাখন বানাতে হবে। তারপর সেই মাখন ভালোভাবে ফেটে নেওয়ার বা মথিত করার পর জ্বাল দিলে ঘি হবে।
ঘরেও এভাবেই ঘি বানানো হয়। তবে অনেকেই দুধের সর থেকে ঘি তৈরি করেন। দির্ঘদিন ধরে সর জমা কর তারপর সেটি বেটে বা ব্লেন্ড করে জ্বাল দিলে ঘি হয়।