নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতার অমলকান্তি হতে চেয়েছিল রোদ্দুর। কিন্তু বাংলাদেশের অমল রায় হতে চেয়েছিলেন টেনিস তারকা। সেই স্বপ্ন কবেই ধূসর হয়ে গেছে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন অমলের! তিনি এখন কাজ করেন মোটর পার্টসের দোকানে। জাতীয় টেনিস দলের আরেক খেলোয়াড় আক্তার হোসেন দেশের টেনিসে ভবিষ্যৎ না দেখে পাড়ি জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
টেনিস বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হলেও বাংলাদেশে অবহেলিত। ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সাংগঠনিক ব্যর্থতার প্রভাব পড়ছে কোর্টে। কর্মকর্তাদের অনাগ্রহ, মামলা— এ রকম নানা কারণে ১৩ বছর ধরে ফেডারেশন চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে টেনিস ফেডারেশন নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক পেয়েছে মাত্র একবার। ২০০৪ সালে হওয়া একমাত্র নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হন ছানাউল হক। তিনি দায়িত্ব ছাড়েন ২০০৯ সালে। এরপর গত এক যুগে পাঁচবার কমিটি বদল হলেও সেসব কমিটি ‘আহ্বায়ক’–এর ব্র্যাকেট থেকে বের হতে পারেনি। এতে বিরক্ত খোদ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানও।