ইমরান খান নিজেকে সব সময় পাকিস্তানের ত্রাতা হিসেবে উপস্থাপন করে এসেছেন। তিনি প্রায়ই দাবি করে থাকেন যে, যদি কোনো দেশের নেতারা দুর্নীতিগ্রস্ত হন তাহলে সে দেশ অনেক ঋণ নিয়ে থাকে। ইমরান খান একদা বলেছিলেন, মৃত্যু হলেও ঋণের জন্য ভিক্ষা চাইবেন না। কথাটি এখনো পাকিস্তানের জনগণের স্মৃতিতে উজ্জ্বল।
তবে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের কথায় অটল থাকতে পারেননি ইমরান খান। ক্ষমতা নেওয়ার পরবর্তী তিন বছরে তিনি ৪০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে অতীতের ঋণ নেওয়ার সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। এখন পাকিস্তানের সরকারবিরোধীরা নিজের কথাকে সম্মান জানিয়ে ইমরান খানকে সরে যাওয়ার দাবি জানাচ্ছে। পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো বলছে, ইমরান পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে সমর্পণ করেছেন। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে আইএমএফের একজন সাবেক কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোতে আইএমএফের অনুপ্রবেশ আরও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এতে পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণ ব্যাপকভাবে সংকুচিত হয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হলো, ইমরান খান কি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ধস ঠেকাতে পারবেন? নাকি ২০২৩ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আগেই তাঁর দলের ক্ষমতা ছাড়তে হবে?