বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল তাঁর জীবনের শেষবেলায়, যখন তিনি দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখনো অনেকেই তাঁর মাহাত্ম্য ও ব্যক্তিত্বের জন্য তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত ছিলেন। প্রয়াত কবি শামসুর রাহমান তরুণ কবি হিসেবে আমাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। আমি যখনই তাঁকে দেখতে যেতাম, তাঁর কণ্ঠে রবি ঠাকুর, টেনিসন, কিটস, শেলি বা সুফি কবি ইকবাল, হাফিজ বা শেখ সাদির কবিতা শুনতাম। বিচারপতি মোর্শেদ অন্য অনেক বিষয়ের মতোই কবিতা সম্পর্কে অগাধ জ্ঞানের আধার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর চার দশকের বেশি সময় পরও তাঁর কবিতা আবৃত্তির রেশ এখনো আমার কানে বাজে।