বৈষম্য নিয়ে আলোচনা এখন সর্বস্তরে দানা বেঁধে উঠছে। রাষ্ট্রীয় নীতি হতে পারিবারিক চর্চা-সবখানেই ন্যায্যতার প্রশ্ন প্রবল হয়ে উঠছে। অধিকার ও সুযোগের সাম্য নেই-কান পাতলেই এমন অভিযোগ শোনা যায়। মুক্তিযুদ্ধ যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সংঘটিত হয়েছিল তার স্বরূপই ছিল শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা।
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থনীতিতেও পরিবর্তনের আয়োজন চলছিল। পঁচাত্তরের পর পরিবর্তিত রাজনীতি ও অর্থনীতি বিভিন্ন সেবা খাতে রাষ্ট্রের অংশীদারত্ব ক্রমেই সংকুচিত করে ফেলে। স্বাধীন রাষ্ট্রে শিক্ষার চরিত্র ও লক্ষ্য নির্ধারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। তৎকালীন বিশ্বব্যবস্থাও তদানীন্তন শাসকগোষ্ঠীর আশ্রিত দর্শনের অনুকূলে চলে যায়। সর্বজনীন ও সমতাভিত্তিক শিক্ষার অনুপস্থিতিতে জাতিসত্তার সুষম বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। অসাম্য ও বিভক্তি রাষ্ট্রগঠনের প্রক্রিয়াকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।