ভারতীয় রুপির সুপার নোট (অবিকল আসল, যা যন্ত্রেও ধরা পড়ে না) কারবারে জড়িত আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশকে ব্যবহার করছে ট্রানজিট রুট হিসাবে। বিভিন্ন অঙ্কের নোটের চালান বাংলাদেশে এনে ভারতে পাচার করছে তারা।
পাকিস্তানের একটি কারখানায় ছাপানো এ নোট মোজাইক পাথরবাহী কনটেইনারে শ্রীলংকা হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এনে খালাস করা হয়। এরপর সড়কপথে ঢাকায় এনে পৌঁছে দেওয়া হয় ডিস্টিবিউটরদের কাছে। তারাই নিজস্ব লোক দিয়ে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নোটগুলো ভারতে পাচার করে। বাহকদের বেশিরভাগ ওই দুই জেলার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা। কারবারে জড়িত চক্রের পাকিস্তানি গডফাদার, এ দেশীয় এজেন্ট, ডিস্টিবিউটরসহ অন্তত ১০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান ডিস্টিবিউটরসহ চারজন গ্রেফতার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে ভারতীয় রুপির সুপার নোট কারবারের চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।