ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে টম লাথামের ডাবল সেঞ্চুরি এবং ডেভন কনওয়ের সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৬ উইকেটে ৫২১ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৬ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। ফলে স্বাগতিকদের চেয়ে ৩৯৫ রানে পিছিয়ে রয়েছেন মুমিনুল হকরা।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ৬ রান তুলেন সাদমান। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৬ রান। এরপর ৪ রানে শান্ত এবং শূন্যরানেই সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হক। ৮ রানে ফেরেন লিটন। ২৭ রানে ৫ উইকেটের হারানোর দলের হয়ে ম্যাচের হাল ধরেন ইয়াসির আলি রাব্বী এবং নুরুল হাসান সোহান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজন মিলে তুলেন ৬০ রান। ব্যক্তিগত ৪১ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। পরে মিরাজকে নিয়ে কিছুক্ষণ দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নেন রাব্বী।
মিরাজ ফেরেন ৫ রানে, পরে ২ রানে আউট হb তাসকিন। এদিকে আপনতালে খেলতে থাকা ইয়াসির রাব্বী পূর্ণ করেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। আউট হন ৫৫ রানে। এছাড়া ২ রান করেন শরিফুল। আর শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন এবাদত।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া টিম সাউদি তিনটি এবং কাইল জেমিসন দুটি উইকেট নেন।
মাত্র ১ উইকেটে প্রথমদিন শেষ করা দুই কিউই ব্যাটার টম লাথাম এবং ডেভন কনওয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলায় আবারও ব্যাট করতে নামেন। এবাদত হোসেনের করা দিনের প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে কনওয়ে। সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর সেটা আর দীর্ঘায়িত করা হয়নি তার। টাইগার পেসার শরিফুল ইসলামের করা দিনের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন লাথাম। দ্রুত এক রান নিতে গেলে কনওয়েকে রান আউট করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ফলে ২১৫ রানে ভাঙে এই জুটি। আউট হওয়ার আগে করেন ১০৯ রান। ১৬৬ বলে খেলা ইনিংসটি ১২টি চার এবং একটি ছয়ে সাজানো।
কনওয়ে আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ব্যক্তিগত ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন দলীয় অধিনায়ক এবং ওপেনার টম লাথাম। তিনি আপনতালে খেললেও ক্রিজের অন্যপ্রান্ত আগলে রাখতে পারছেন না কেউই। ব্যক্তিগত ২৮ রানে রস টেলর আউট হওয়ার পর শূন্যরানেই ফেরেন হেনরি নিকোলস। এই উইকেট দুটিই নিয়েছেন টাইগার পেসার এবাদত।