চাকরির পরীক্ষা দিতে ঢাকায় এসেছিলেন মিরাজুল ইসলাম। সদরঘাটে লঞ্চ থেকে নেমে এই যুবক যাচ্ছিলেন ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জের জিনজিরায়। কিন্তু বুড়িগঙ্গা নদী পেরোতে না পেরোতেই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তিনি। তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। গত ৬ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটেছে।
এমন ঘটনা শুধু একটি নয়, বরং প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও উপকণ্ঠে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন মানুষ। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অনিরাপদ হয়ে পড়ছে ঢাকার সড়ক ও অলিগলি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেও তা পরিণত হয়েছে যেন 'বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো'তে। ছিনতাইকারীর হাতে কেউ মারা গেলে কিংবা লুট হয়ে যাওয়া টাকার পরিমাণ বেশি হলেই কেবল এসব ঘটনা আলোচনায় আসে। 'ছোটখাটো' ছিনতাই-দস্যুতা হয়ে পড়ে গুরুত্বহীন।
পুলিশও বলছে ছিনতাই বেড়েছে :আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও স্বীকার করছেন, ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে গেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার সম্প্রতি বলেছেন, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর মানুষের চলাচল ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। বিষয়গুলো অস্বীকার করার কিছু নেই।