উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ, আতঙ্ক, সংশয় আর দোলাচলে তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলার মানুষসহ বিশ্ববাসী, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, মুকুটহীন সম্রাট কখন মুক্ত হবেন পাকিস্তানি ‘জিন্দাখানা’ থেকে। ফাঁসির আদেশ দিয়ে পাক সামরিক বাহিনী হত্যার সব আয়োজন সম্পন্ন করলেও বিশ্ববাসীর চাপে আর তা পেরে ওঠেনি। বাংলাদেশ হানাদারমুক্ত হওয়ার পর বাইশ দিন পেরিয়ে যায়, তবু তার স্থপতি, তার প্রতিষ্ঠাতা ফেরেনি। সারা বিশ্ব তাকিয়ে বাঙালির মতোই কখন মুক্ত হবেন দীর্ঘ নয় মাস ধরে নিঃসঙ্গ কারাবন্দি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতা, ভাই, বন্ধু, পিতা, স্বজন। পুরো বাঙালি জাতির আশা ও বাসনাকে একটি বিন্দুতে মিলিয়েছিলেন তিনি। তাঁরই আহ্বানে, তাঁরই ডাকে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করেছে। যে স্বাধীনতা ও মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে, ত্রিশ লাখ প্রাণের আত্মাহুতিতে আর তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে সেই দেশকে স্বাধীন করেছে। পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণে হয়েছে বাধ্য। বিশ্বের মানচিত্রে নতুন দেশ ‘বাংলাদেশ’ আলোকিত সূর্যের মতো রেঙ্গে উঠেছে।
যে স্বাধীনতা ও মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে, ত্রিশ লাখ প্রাণের আত্মাহুতিতে আর তিন লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে সেই দেশকে স্বাধীন করেছে। পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণে হয়েছে বাধ্য। বিশ্বের মানচিত্রে নতুন দেশ ‘বাংলাদেশ’ আলোকিত সূর্যের মতো রেঙ্গে উঠেছে। সেই পঞ্চাশ বছর আগে, ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক উজ্জ্বল উদ্ধার। মুক্ত হলেন বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির কান্ডারি শেখ মুজিব বাঙালিসহ বিশ্ববাসী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল।