মানুষ যেহেতু আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় দেখতে চেয়েছে তাই ভোটের পর মানুষের মধ্যে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বিএনপির বিজয় আওয়ামী লীগ ছিনিয়ে নিয়েছে এমনটা মানুষের কাছে মনে হয়নি। তবে সব মিলিয়ে নির্বাচনকে ঘিরে যা হয়েছে তা মানুষকে হতাশ করেছে। আওয়ামী লীগের হয়তো একটি পরিকল্পনা ছিল যে নির্বিঘ্নে সরকার চালাতে গেলে বিরোধী দলকে দুর্বল করতে হবে। তারা সেটা করেছে। ভোটের পর ঠিকই বিরোধী দলের দিক থেকে কোনো বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়নি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি নাঈমুদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ নামের যে সংগঠনটির যাত্রা শুরু, তারই নাম এখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। পাকিস্তান নামক একটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাত্র কয়েক মাস পরই একটি নতুন ছাত্র সংগঠন কেন তৈরি করা হয়েছিল, তার নিশ্চয়ই কারণ আছে। সে কারণ জানা আছে প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তাদের। ভাষা, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার যে ধারাবাহিক সংগ্রাম তার সঙ্গে ছাত্রলীগের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস– বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস।