প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার পরে হওয়া আরামকে বাবা হওয়ার আনন্দের সঙ্গে তুলনা করায় মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রোষে পড়েছিলেন গোপাল ভাঁড়। আসলে মলত্যাগ (Poo) বিষয়টিকেই সকলে একটু নাক সিঁটকে দেখেন। কিন্তু এর প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। আর এবার বিজ্ঞানীরা জোর দিচ্ছেন মলদানের উপরে। হ্যাঁ, মলও দান করা যায় রক্ত বা শরীরের অন্যান্য বহু অঙ্গের মতোই। ক্রমশই বাড়ছে মলদানের চাহিদা।
কিন্তু কেন? হঠাৎ এই বর্জ্য পদার্থটি এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল ‘দানসামগ্রী’ হিসেবে? আসলে অন্যের ভাল মল এখন অন্ত্রের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই কারণেই এই ধরনের মলদাতাদের ডাকা হচ্ছে ‘সুপার পু ডোনার’ হিসেবে। তবে এই ধরনের মলদাতাদের বলা হচ্ছে ইউকির্নও! কাল্পনিক এই শিংওলা ভেড়াকে যেমন দেখা যায় না, তেমনই বিরলদর্শন এই দাতারাও। তবে বিরল হলেও তাঁদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যাকে ঘিরে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার চিকিৎসায় নতুন দিশা খুঁজে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।