অভিবাদন জ্ঞাপন মানবসভ্যতার পরিশীলিত আচরণের প্রাচীন বিধি। শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সম্মান জানানোর সর্বজনীন রীতি। ভাষা ও অঞ্চলভেদে অভিবাদন বা সম্ভাষণ জানানোর অভিব্যক্তি পৃথক হলেও এর মর্মকথা অভিন্ন।
স্বয়ং বা যান্ত্রিক সাক্ষাতে এবং বিদায় নেওয়ার সময় ছোট্ট একটি বাক্য বা শব্দ উচ্চারণ করে মানুষ তার আন্তরিকতা প্রকাশ করে। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করে মাস পহেলা বেতার ভাষণ শেষে উচ্চারণ করতেন ‘খোদা হাফেজ’। এ নিয়ে তখন কোনো গুঞ্জন শোনা যায়নি। সাক্ষাতে কিংবা বিদায় বেলায় মুসলমানরা বলেন : আসসালামু আলাইকুম। এর অর্থ পরস্পরের শান্তি কামনা। একটি ইংরেজি কবিতায় পড়েছিলাম বিধাতা মানুষকে কত কিছুই না দিয়েছেন, তবে শান্তি বা প্রশান্তি উপলব্ধির বিষয়টি নিজের হাতে রেখে দিয়েছেন। এ উপলব্ধি দুর্লভ। সুতরাং এই অভিবাদনের মধ্যে গভীর তাৎপর্য আছে। ধর্মের দিক থেকে এবং বোধের অন্তহীনতায়।