নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) পল্লীতে তৈরি হচ্ছে জামদানি শাড়ি। বুনন ও নকশার জন্য সারা বছরই চাহিদা থাকে জামদানি শাড়ির। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জামদানি শাড়ির চাহিদা রয়েছে বিদেশেও। ঐতিহ্যবাহী নকশা ও বুননের কারণে ২০১৩ সালে জামদানিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।
প্রাচীনকালে তাঁত বুনন প্রক্রিয়ায় কার্পাশ তুলার সুতা দিয়ে মসলিন নামে যে সূক্ষ্ম বস্ত্র তৈরি হত, সেই মসলিনের উপর যে জ্যামিতিক নকশাদার বা বুটিদার বস্ত্র বোনা হত, তারই নাম জামদানি। জামদানি বলতে সাধারণত শাড়ি বোঝানো হলেও জমিদারি আমলে এই নকশা থাকত ওড়না, কুর্তা, পাগড়ি, ঘাগরা, রুমাল, পর্দাসহ নানা ধরনের পোশাক বা কাপড়ে।