রোগ শয্যায় শুয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্র পাঠ করে মনে হয়, বাংলাদেশে ভারতবিদ্বেষকে একটা ইন্টেলেকচুয়াল লেভেলে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের বেশ কয়েকজন ইন্টেলেকচুয়ালকে বশ করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে হয়।সম্প্রতি ঢাকার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সদস্য এবং সাবেক সচিব আকবর আলি খান কিছু মন্তব্য করেছেন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের ভারতবিদ্বেষকেই বেশ সফিস্টিকেটেড ওয়েতে প্রচার শুরু করেছেন। আকবর আলি খানকে আমি চিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব তরুণ সিএসপি অফিসার আগরতলায় জমায়েত হয়েছিলেন, তিনি তাঁদের একজন। সেখানেও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অন্যান্য অফিসার যেখানে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, তখন আকবর আলি খানের মতামত ছিল কিছুটা হতাশামণ্ডিত। তিনি মার্ক্সবাদ বিষয়েও একটি বই লিখেছেন। সেটি পড়েই মনে হয়েছিল তিনি একজন বিভ্রান্ত ইন্টেলেকচুয়াল। তারপর ইয়াজউদ্দিনের গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরও তিনি একজন সদস্য ছিলেন। সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি বিভিন্ন সময় যেসব মন্তব্য করেছেন তা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তির সহায়ক হয়নি।